Pages

Search This Blog

Wikipedia

Search results

Saturday, February 9, 2019

একটা নিরাপদ ছাদ।

আমরা খুব অস্থির হয়ে আছি যে-কোনও প্রকারে একটা হোম-আশ্রয়স্থল করার জন্য। কিন্তু মেঘে-মেঘে বেলা বয়ে যায়, সময় গড়ায় কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অস্থিরতা বাড়ে। কেন? এর ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এই ঘটনাটাই যথেষ্ট। এদের জন্য একটা আশ্রয়ের প্রয়োজন, বড় প্রয়োজন।

এই ফুটফুটে শিশুটি সদ্যই ভুমিষ্ট হয়েছে আখাউড়া স্টেশনে, উম্মুক্ত আকাশের নীচে। কোথায় ডাক্তার কোথায় নার্স নিদেনপক্ষে গ্রাম্য ধাই। এর বাপ এদেরকে ফেলে উধাও হয়ে গেছে। 'এদের' মানে এর আরও ৩ ভাই-বোন। সব মিলিয়ে ৪ জন!

আপাতত এটাই এদের ক্ষণস্থায়ী বাড়ি-ঘর। স্টেশনের ওভারব্রিজের নীচে। কেউ হয়তো এই ছবির ভুল ধরবেন কারণ এই মা-টার ৪ সন্তান থাকার কথা। ছবিতে একজন নেই। গা শিউরে উঠার মত সত্যটা হচ্ছে বড় সন্তানটাকে অন্য একজনকে দিয়ে দিয়েছেন।
'এ কেমন নিষ্ঠুর মা' যারা এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবেন তারা যদি এই সন্তানটা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়কার এই মাটার জান্তব চিৎকার শুনে থাকেন তাহলে তারা আর এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবেন না।

যাই হোক, প্রসব পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সহযোগীতা করেছেন ডা. শাহনেওয়াজ হাসান (সজীব) । কৃতজ্ঞতা।

...

আজ দেখা গেল বাচ্চাদের মাঝে আরেকজন নেই!
জিজ্ঞেস করার পর মা অস্থির হয়ে জানালেন তার সন্তানকে সকাল থেকে খুঁজে পাচ্ছেন না। খোদা, এই দেশে প্রাণ কত শস্তা...!        

No comments:

Post a Comment