এই ওয়েবসাইটটি এখন এখানে: https://nedobd.com/
Pages
Search This Blog
Wikipedia
Search results
Saturday, April 20, 2019
Tuesday, April 9, 2019
আলোর সঙ্গে...
ডা. রুমি আলম যে হুইলচেয়ারটা দিয়েছিলেন [১] এটা যে এমন কাজে লাগবে তা আমাদের আগাম জানা ছিল না।
কোর্টের সামনে এমরান নামের এই মানুষটাকে উকালতির সূত্রে ফি রোজ নির্বাহি পরিচালক, নিডোর চোখে পড়ে। সিদ্ধান্ত হয় আজ এমরান নামের এই মানুষটাকে হুইল চেয়ার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আদালত পাড়ায় চাওড় হয়ে যায় এই খবরটি। অনেকে সানন্দেই উপস্থিত হন আলোর সঙ্গে ভালোর সঙ্গে। এঁদের মধ্যে বিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন, ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. ওসমান গণি আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ পারভেজ...।
সবার কাছে আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
১. মমতার অসংখ্য হাত: https://nedobd.blogspot.com/2019/03/blog-post_23.htmlসবার কাছে আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
Monday, April 8, 2019
হাসপাতালের প্রতিটা মানুষের কাছে নতজানু হই।
এই মানুষটাকে পাওয়া গিয়েছিল বিব্রতকর এক ভঙ্গিতে! তিনি এর-ওর কাছে টাকা চাচ্ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেল বেশ ক-মাস ধরে তিনি এখানকার সরকারী হাসপাতালে ভর্তি। পরে আলাপে আরও জানা গিয়েছিল এই মানুষটার উপর দিয়ে ট্রাক চলে গিয়েছিল।
সেসব থাকুক কিন্তু এ তো এক অভাবনীয় এক ঘটনা! দীর্ঘ এই ক-টা মাস হাসপাতালের লোকজনেরা অজান্তেই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মাথায় ছাদের তিনবেলা খাবারের, চিকিৎসার। আর কিসসু না, মায়া-মায়া। হাসপাতালের লোকজনেরা মায়ার ফাঁদে আটকা পড়েছেন।
সুখি-সুখি চেহারার অনাথ এই মানুষটার কোথাও যাওয়ার তাড়া নেই কারণ তাঁর কোথাও যাওয়ার জায়গাই নেই। খুব বেশি চাওয়াও নেই- এখানে মাথায় ছাদ আছে, খাবার আছে কেবল পান-টান, তেল-সাবান এটা-সেটার জন্য ভাঙ্গাচোরা এই শরীরটাকে নিয়ে বেরুতে হয় হাহাকার-করা এক ভঙ্গিতে হাত পাততে হয়।
হিসাব কষে দেখা গেল সমস্ত মাসে যে টাকাটা প্রয়োজন এটার অংক বিরাট কিছু না। হাজারখানেক টাকা। এটার একটা গতি হয়েই যাবে...।
Saturday, March 23, 2019
মমতার অসংখ্য হাত...।
সাগরকে [১] হুইল-চেয়ারটা দেওয়ার পর আমাদের হাতে আর কোনও হুইল-চেয়ার ছিল না। খানিকটা শংকা কাজ করে সাগরদের মত কারও প্রয়োজন হলে? উপায়? এই সমস্ত কাজে দেরি করার কোনও অবকাশ নাই- কে দেখেছে নেক্সট সামার কে দেখেছে নেক্সট উইন্টার!
আলো আসে, আলোকে আটকাবার ক্ষমতা কারও নাই। ডা, রুমি আলম নামের মানুষটার কল্যাণে একটা হুইল-চেয়ারের ব্যবস্থা হয়েই যায়। এমনিতে মানুষের হাত দুটা কিন্তু মমতাবান মানুষের থাকে অসংখ্য হাত। কোন-এক হাত গলে দু-একটা হুইল-চেয়ার বেরিয়ে আসাটা বিচিত্র কিছু না।
Saturday, March 16, 2019
জীবন বড় সুন্দর!
একে আমরা রাস্তায় পাই ঠিক এমন অবস্থায়:
সাগর নামের এই ছেলেটি তার জীবনের যে গল্প শোনায় তা কেবল হতভম্বই করে দেয় না ক্রমশ সরে যায় আমাদের শরীরের চকচকে কাপড় পাল্লা দিয়ে সরে পেটের পাতলা চামড়া। উম্মুক্ত হয়ে পড়ে একপেট আবর্জনা। সে দুর্ঘটনায় হারায় তার দুপা, একটা হাত।
এরপরই তার বাবা-মা তাকে ফেলে দেয়।
সাগরের এখন প্রয়োজন একটা হুইল-চেয়ার। আমাদের হাতে একটা হুইল-চেয়ার আছে বটে যেটা পাঠিয়েছিলেন নাজমুল হুদা এবং তার বন্ধু তানভির হোসাইন [১]। জরুরি অবস্থার জন্য যেটা আমরা রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেই এটা সাগরকে দিয়ে দেওয়ার জন্য।
চলাফেরায় ওর বড় কষ্ট! এক হাতে যে প্রকারে এ গরম পিচের রাস্তায় শরীরটাকে টেনে টেনে নিয়ে যায় এটা কঠিন হৃদয়ের একজন মানুষেরও বুক থেকে পাক খেয়ে উঠবে তীব্র হাহাকার।
এর বাবা-মা একে ফেলে দিয়েছে জীবনের এই কুৎসিত দিক যেমন আছে তেমনি আছে আলোকিত এক দিকও। এর ভাই একে বুকে আগলে রেখেছেন। আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম সাগরের ভাইকে এক নজর দেখার জন্য।
সাগরের ভাই 'ভাসানি' নামের এই পাতলা-দুবলা মানুষটার ছায়া ছড়িয়ে যায় চারদিক।
সাগর নিয়ে আমরা খানিকটা ভয়ে-ভয়ে ছিলাম হুইল-চেয়ারে সাগর নিজে-নিজে উঠতে পারবে তো? কিন্তু কেবল একটা হাতের সাহায্যে সাগর যে ভঙ্গিতে হুইল-চেয়ারে উঠে এটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
জীবন নিয়ে একটা কথা আছে 'জীবনকে দেখতে হয় একজন মৃত্যুপথযাত্রি মানুষের চোখ দিয়ে' এটাকে খানিকটা বদলে বলা যেতে পারে, জীবনকে দেখতে হয় সাগরের চোখ দিয়ে...।
Friday, March 1, 2019
ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করি না হে...।
ইংল্যান্ডে
থাকেন দুই বন্ধু, নাজমুল হুদা এবং মীর তানভির হোসাইন। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে এঁদের আছে তীব্র
অনীহা। তদুপরি এখানে এভাবে নাম উল্লেখ করাটা প্রকারান্তরে এক ধরনের অন্যায়। আমাদের মত অন্যায়ে
ডুবে থাকা মানুষের নাহয় আরেকটা অন্যায় বাড়ল বৈকি।
নিয়তে বরকত, তাই বড় সংকোচ নিয়ে এঁরা যে টাকাটা পাঠিয়েছেন তা দিয়ে এই সংস্থার জন্য হয়ে যায় কম্পিউটার এবং হুইল চেয়ার।
Tuesday, February 12, 2019
কৃতজ্ঞতা
স্কুলের জন্য [১] একটা সেলাই মেশিনের বড় প্রয়োজন ছিল। একটা সেলাই মেশিন থাকলে এই স্কুলের মহিলারা সেলাই শিখতে পারতেন। সেলাইটা একবার শিখতে পারলে এঁরা সেলাই করে খুব সহজেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারতেন। সেলাই মেশিন- এই সমস্যারও সমাধান হয়।
সাজ্জাদ হোসেন সহৃদয়তার হাত বাড়িয়ে দেন। স্কুলের জন্য বিনে পয়সায় একটা সেলাই মেশিন যোগাড় করে দেন। কৃতজ্ঞতা।
১. বয়স্ক স্কুল:
Subscribe to:
Posts (Atom)